পরেশের জীবনে পরশ পাথরের ছোঁয়া

0

উত্তরের জয়পুরহাট জেলার পাটন ধারা গ্রামের ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী পবন চন্দ্র দেবনাথ ও দীপালী রাণী দেবনাথ এর ছেলে পরেশ চন্দ্র দেবনাথ। অভাবের কারণে পড়াশোনা করতে না পারলেও বেকারত্বের গ্লাণি ঘোচাতে কারিগরি শিক্ষার উপর ছিলো ঝোক। সেই ঝোঁকের বশেই পরিবারকে সহযোগিতার জন্য পরেশ তিলকপুর বাজারে মা ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন এর মালিক ও মাস্টার ক্রাফট পার্সন (MCP) মোঃ বাদল আলীর সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষানিবিশী কার্যক্রম বিষয়ে জানতে পারেন। ২০২৩ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৌসুমী-রেইজ প্রকল্পের আওতায় ৬ মাসের ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন বিষয়ে শিক্ষানিবিশী কোর্স সু-সম্পন্ন করেন।

 এমসিপি বাদল আলী তার কাজের আগ্রহের কারণে তাঁকে নিয়মিত মাসিক বেতন দিয়ে চাকুরি দেন। এখন পরেশ একজন দক্ষ কর্মী হয়ে মা ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপে কাজ করছেন মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে। পরেশ বলেন- ‘ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন বিষয়ে শিক্ষানবিশী কার্যক্রমের একজন গ্রাজুয়েট হয়ে এমসিপির কারখানাতে কাজ করেই সংসারের হাল ধরেছি। আমার মহাজনের মত এলাকার বাজারেও একটা ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ দেয়ার স্বপ্ন দেখি।’

এমসিপি বাদল আলী বলেন- ‘পরেশ ভালো ছেলে, সে কাজেও আগ্রহী ও দক্ষ। যার কারণে আমি তাকে শিক্ষানবিশী কার্যক্রমের পর মাসিক বেতনে কাজের সুযোগ দেই। সে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।’

পরেশের মত অসংখ্য নিম্ন আয়ের পরিবারভুক্ত সম্ভাবনাময় তরুণ-তরুণী বেকারত্বের নির্মম কষাঘাত থেকে মুক্ত করে জীবনে কারিগরি জ্ঞান ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আলোর পথ দেখাচ্ছে রেইজ প্রকল্পের শিক্ষানবিশী কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, নানা কর্মমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যংক ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ২০২০ সাল থেকে ‘রিকভারি এন্ড এ্যাডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লমেন্ট' বা রেইজ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমী।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)

Search This Blog

To Top