স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২৩ পুরষ্কার পেলেন কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

0

পুরষ্কারের ক্রেস্ট হাতে ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ পুরষ্কার' ২০২৩ পেল পোল্ট্রি ম্যানেজার মোবাইল অ্যাপ। বেসরকারী শাখায় শ্রেষ্ঠ কারিগরি দল হিসেবে স্মার্ট পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনা অ্যাপ ‘স্মার্ট-কৃষক স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই পুরষ্কায় জযলাভ করেছে। মানু ফার্মস'র আওতাধীন  উক্ত IOT প্রযুক্তিটির  প্রতিষ্ঠাতা  কৃষি-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা মোহাম্মদ শাহীন। কৃষিবিদ আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ পোল্ট্রি ম্যানেজার মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে "প্রধান টেকনোলজি কর্মকর্তা' (CTO) হিসাবে সফলতার সাথে  উক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। 

দেশের পোল্ট্রি শিল্পের আধুনিকায়ন,  প্রয়োজনীয় সকল সেবা মুঠোফোনে নিশ্চিতকরণ ও IoT টেকনোলজির মাধ্যমে খামারের  উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় আজ (বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩) বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা "স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২৩" পুরষ্কার প্রদান করেন।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন- ‘যেকোনো কাজে স্বীকৃতি কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের অনেক পরিশ্রমের ফসল ছিল এই স্মার্ট পোর্ট্রি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা।   মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’ 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি সারা বিশ্বের কাছে যেমন আলোচনার বিষয় তেমনি অনেকের কাছে বিষ্ময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ যেমন সেবার সর্বক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে যুক্ত করবে। কৃষি থেকে খামার, শিল্প থেকে পরিবার এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যবহার করা হবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলো।
পোল্ট্রি ম্যানেজার অ্যাপের মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষক তার একটি পোল্ট্রিফার্ম পরিচালনা করবেন একইভাবে এই অ্যাপ থেকে ভোক্তারা তথ্য সুবিধা পাবেন। এই যে উদ্ধাবন এটাই প্রমাণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোথায় পৌঁছে গেছে। বর্তমানে দেশের ৩ হাজার খামারি এটি ব্যবহার করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের সুফলও দেশের প্রতিটি প্রান্তের প্রতিটি মানুষ উপভোগ করবে। 
পুরষ্কার বিজয়ী  দলের অন্যান্য  সদস্যগণ  হলেন- প্রযুক্তিটির ক্রিয়েটিভ কনসালটেন্ট ও ই-ক্যাবের নিবার্হী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন,  মানু ফার্মের চীফ অপারেটিং অফিসার রুমানা আক্তার এবং মানু ফার্মসের কো-ফাউন্ডার আলিফ বিনতে শাহীন। 

দেশের এই কৃতিন্তান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বালাবামুনিয়া গ্রামের আফছার উদ্দিন আহমেদ ও মোছাঃ হেলেনা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি তালুকজামিরা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ২০০২ সালে কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারি আযিযুল হক কলেজ হতে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর ও  পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ১০ বছর বানিজ্যিক মাছ চাষ, হাস মুরগী ও গবাদিপশুর খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। নারী ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্দোক্তা সৃষ্টিতে তিনি নিরলস ভাবে  সিলেট, খুলনা,  কুলিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সুনামের সাথে সমাজ সেবায়  নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি গবাদিপশু, মুরগির মেডিসিন  ও খাদ্য উন্নয়নে কানাডিয়ান বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মাউন্টেন ভ্যালি, কানাডার প্রধান গবেষক হিসাবে কাজ করেছন৷ অল্প উৎপাদন খরচে মাছের বানিজ্যিক খামার ব্যবস্থাপনায় তার গবেষণা দেশের খামারী পর্যায়ে ব্যপকভাবে সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়াও তিনি দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্ট গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এএফপি এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)

Search This Blog

To Top