পুরষ্কারের ক্রেস্ট হাতে ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ |
দেশের পোল্ট্রি শিল্পের আধুনিকায়ন, প্রয়োজনীয় সকল সেবা মুঠোফোনে নিশ্চিতকরণ ও IoT টেকনোলজির মাধ্যমে খামারের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় আজ (বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩) বঙ্গবন্ধু আন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা "স্মার্ট বাংলাদেশ ২০২৩" পুরষ্কার প্রদান করেন।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন- ‘যেকোনো কাজে স্বীকৃতি কাজের অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের অনেক পরিশ্রমের ফসল ছিল এই স্মার্ট পোর্ট্রি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ। এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথে দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ |
দেশের এই কৃতিন্তান গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বালাবামুনিয়া গ্রামের আফছার উদ্দিন আহমেদ ও মোছাঃ হেলেনা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি তালুকজামিরা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ২০০২ সালে কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকারি আযিযুল হক কলেজ হতে এইচএসসি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ১০ বছর বানিজ্যিক মাছ চাষ, হাস মুরগী ও গবাদিপশুর খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। নারী ক্ষমতায়ন ও নারী উদ্দোক্তা সৃষ্টিতে তিনি নিরলস ভাবে সিলেট, খুলনা, কুলিল্লা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সুনামের সাথে সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এছাড়াও তিনি গবাদিপশু, মুরগির মেডিসিন ও খাদ্য উন্নয়নে কানাডিয়ান বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মাউন্টেন ভ্যালি, কানাডার প্রধান গবেষক হিসাবে কাজ করেছন৷ অল্প উৎপাদন খরচে মাছের বানিজ্যিক খামার ব্যবস্থাপনায় তার গবেষণা দেশের খামারী পর্যায়ে ব্যপকভাবে সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়াও তিনি দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান কম্ফোর্ট গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং এএফপি এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।